মহামারী করোনা সংক্রান্ত প্রতিরোধ মালয়েশিয়া চলছে লকডাইন। লাকডাইনে বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেশির ভাগ প্রবাসীদের চাকরি নাই।
দূর্ঘ্যদিন লাকডাইন থাকায় মালয়েশিয়ার স্থানীয় নাগরিক সহ অনেক অভিবাসী কর্মী বেকার হয়ে গেছে। এর মধ্যে মালয়েশিয়া সরকার স্থানীয় নাগরিকদের কাজের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর কতাডামানছাড়া এলেকায় প্রায় ৭ বছর একটি রেষ্টুরেন্টে কাজ করে আসছিল মোঃ ফারুক আহমেদ নামে এক বাংলাদেশী। লকডাইনে তার রেষ্টুরেন্টে বন্ধ হয়ে গেছে এক বছরের বেশি হলো। কাজ ও বেতন না পাওয়া দিশেহারা হয়ে পড়ে ঐই প্রবাসী। এদিকে ইমিগ্রেশন অফিস বন্ধ থাকায় আবার সময় মত ভিসার নবায়নের টাকা জোগাড় করতে না পারায় সে এখন অবৈধ। কাজ ও অবৈধ হয়ে পড়ায় ফারুক এখন দিশেহারা।
মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন লাকডাইনের ভিতরে মালয়েশিয়া অবস্থান রত অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকের আটকের অভিজান পরিচালনা করেছে তাতেই আরো আত্মঙ্ক বাড়ছে প্রবাসীদের মধ্যে।
মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন প্রধান দাতুক খায়রুল জাজাইম বিন অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকের বিরুদ্ধে হুশিয়ার করে জানান অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের গ্রেফতার করে যে কোন মূল্য নিজ নিজ দেশে পাঠানো হবে।
মোঃ হাসান আলী মালয়েশিয়া বিল্ডিং নির্মাণ সাইটের ভিসা, কাজ করেন সাব সেক্টর সার্ভিসে। প্রতিনিহত আত্মঙ্কে থাকেন মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে। মালয়েশিয়া সরকারের অভিবাসন আইন অনুযায়ী এক সেক্টরে ভিসা নিয়ে অন্য সেক্টরের কাজ করলে তাকে অবৈধ হিসা গন্য করা হয়।
এদিকে এমন খারাপ পরিস্থিতিতে প্রবাসীদের সহায়তা জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনের মালয়েশিয়া সরকারের সাথে আলোচনা করে সমাধান করার আহবান করছে প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ দূতাবাসের বিশেষ একসূত্রে জানা যায় যে প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানের জন্য দূতাবাস কাজ করে যাচ্ছে, তবে লাকডাইনে অফিস বন্ধ থাকায় ভাইচুয়াল মিটিং এর মাধ্যমে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।